API Testing 2: বিভিন্ন API Method এর সাথে পরিচয়।

API Testing tutorial 2:

API Methods/Requests API নিয়ে কাজ করার সময় আপনাকে প্রত্যেকবার সার্ভার এর কাছে request পাঠাতে হবে, এবং আপনার সেই request এর ভিত্তিতে সার্ভার আপনাকে উত্তর বা Response পাঠাবে। এখন সার্ভারকে আপনি বিভিন্নরকম request করতে পারেন, সেটা হবে আপনার চাহিদা মতো, যে আপনি কি চাচ্ছেন।

তো এই বিভিন্নরকম request গুলাকে বলা হয় API Methods অথবা Requests। তো এই পর্বে আপনারা জানতে পারবেন যে বিভিন্ন রকম API Methods/Requests কি এবং কোনটা কোন কাজে ব্যবহার করা হয়।

API Testing Bangla tutorial 2. What are the API methods/requests. What operation the methods performed individually.

My other videos:

API Testing 1: https://youtu.be/WP3XNlA7SmE

JMeter Bangla 1: https://youtu.be/V9aWOuqmdNU

API Testing 1: API এবং API Testing এর সাথে পরিচিতি…

API অথবা “Application Programming Interface” বর্তমান সফটওয়্যার এর খুবই গুরুত্বপুর্ণ অংশ। একটা এপ্লিকেশন, হোক সেটা ওয়েব বা মোবাইল, তার BackEnd এর সব সার্ভিস সম্পন্ন হয় API এর মাধ্যমে।

তাই সফটওয়্যার টেস্টার এর জন্যও API টেস্ট এর চাহিদাও দিনে দিনে বাড়ছে। তাই ভাবলাম API Testing নিয়ে একটা সিরিজ বানাই।

এই পর্বে আমি চেষ্টা করেছি API এর একটা ধারণা দিতে, টেস্টার এর দৃষ্টিকোণ থেকে। আশা করি সবার জন্য সুবিধাজনক হবে।

সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও সফট্‌ওয়্যার টেস্টিং শেখার আগেঃ নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবেন?

সফটওয়্যার টেস্টিং এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার আগে কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। তার মধ্যে কিছু জিনিস আমি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

সফটওয়্যার টেস্টিং মাইন্ডসেটঃ  সফটওয়্যার টেস্টিং এ সবচেয়ে জরুরী হলো মাইন্ডসেট। আপনাকে একজন সাধারণ মানুষের চাইতে একটু আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে। একটা উদাহরণ দেইঃ ধরুন আপনি একটা ক্যালকুলেটর এ যোগ হয় কিনা টেস্ট করবেন। সবাই হয়তো বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে চেক করবে, কিন্তু একজন টেস্টার হিসাবে আপনি দেখার চেষ্টা করবেন যতগুলা সম্ভাব্য রাস্তা আছে চেক করে ফেলা। যেমন আপনি দশমিক সংখ্যা দিয়ে যোগ করে দেখবেন, ১ এর নিচের সংখ্যা দিয়ে যোগ করে দেখবেন, একটা বিয়োগ বা গুন বা ভাগ এর মাঝে একটা যোগ করে দেখবেন ইত্যাদি। এবং এর জন্য আপনার এনালাইটিক্যাল এবিলিটি (Analytical Ability) ভালো থাকতে হবে। এবং ইন্টারভিউ তেও চেক করে দেখা হয় যে একজন প্রার্থীর এই এবিলিটি ক্যামন, কারণ এটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটা প্রস্তুতি।

ডকুমেন্টেশন (Documentation) জ্ঞ্যানঃ   সফটওয়্যার টেস্টিং এর লাইন এ আপনাকে অনেক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে, ফাইল মেইন্টেইন  করতে হবে। প্রতিনিয়ত হয় ডকুমেন্ট আপডেট করতে হবে, কারণ আপনার বানানো টেস্ট প্ল্যান, বা টেস্ট কেস আপনাকে বা অন্য কাউকে চালাতে হবে, আবার আপনাকে টেস্ট রিপোর্ট ও বানাতে হবে। মাঝে কোন Requirement Change হলে তার উপর ভিত্তি করে আগের ডকুমেন্ট এ আবার সংশোধনী আনতে হবে।

কমিউনিকেশন (Communication) জ্ঞ্যানঃ  সফটওয়্যার এর বিভিন্ন টেকনিক্যাল বা বিজনেস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের জন্য আপনাকে সর্বদা বিভিন্ন টিম ও টিম মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, যোগাযোগ রাখতে হবে। এর জন্য আপনার কমিউনিকেশন জ্ঞ্যান ভালো থাকতে হবে।

(Domain Knowledge of The Software) যে  সফটওয়্যার টেস্ট করবেন তার ব্যাপারে ভালোভাবে জানাঃ  যে  সফটওয়্যার আপনি টেস্ট করতে যাচ্ছেন, তার ব্যপারে জানাটাও খুব জরুরী। কারণ এই  সফটওয়্যার সাধারণ কাস্টোমার এর হাতে যাবার আগে আপনাকে মোটামোটি ভালো ভাবে জানতে হবে, একজন কাস্টোমার এর জায়গায় নিজেকে চিন্তা করে টেস্ট করতে হবে। তাই আগে ফিচার গুলা ভালো ভাবে জানা থাকলে আপনার জন্য কি কি টেস্ট করবেন তার লিস্ট তৈরী করা এবং টেস্ট করা অনেক সহজ হবে।

টেকনিক্যাল জ্ঞ্যানঃ  আমি বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে একটা জিনিস জেনেছি, তা হলোঃ সফটওয়্যার টেস্টিং এর জন্য কোনও টেকনিক্যাল নলেজ এর প্রয়োজন নেই। ব্যপারটা আসলে খুবই সামান্য ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাও সেক্ষেত্রে আপনাকে টেকনোলজি এবং সফটওয়্যার এর ব্যপারে একটা মিনিমাম জ্ঞান রাখতেই হবে। তার জন্য আপনাকে কম্পিউটার ফান্ডামেন্টাল এবং সফটওয়্যার এর বেসিক জানতে হবে। এবং আস্তে আস্তে করে সফটওয়্যার এর অভ্যন্তরীণ জিনিসগুলাও জানতে হবে, যেমন ওয়েব, মোবাইল, ডেস্কটপ, সার্ভার ইত্যাদি। এরপর আস্তে আস্তে আরও কিছু টেকনিক্যাল জিনিস যেমন প্রোগ্রামিং এর বেসিক, বিভিন্ন আইডিই।

STLC অথবা Software Testing Life Cycle এর সাথে পরিচিতি

গত পোস্ট এ আমরা SDLC অথবা Software Development Life Cycle এর সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। আজকে আমরা জানবো

  • Requirement: Software Development Life Cycle এর মত Software Testing Life Cycle এও Requirement একদম প্রথম ধাপ। এই ধাপে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে একটি সফটওয়্যার তৈরীর কারণ, এটার ব্যবহারকারী কারা হবেন, এর ভিতরে কি কি প্রক্রিয়া, ফিচার, ফাংশন থাকবে। এর মাঝে আর কোনরকম কন্ডিশন আছে কিনা, থাকলে তা নিয়েও পরবর্তীতে অ্যানালাইসিস করতে হবে তাই।
  • Test Planning: Software Development Life Cycle যেমন Analysis হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন ধাপ, তেমনি Software Testing Life Cycle এ Test Planning হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন ধাপ, কারণ এই ধাপে আপনাকে সম্পুর্ণ প্রজেক্ট এর ব্যপার মাথায় রেখে প্ল্যান করতে হবে।
  • Test Case Development: প্ল্যানিং সম্পুর্ণ করার পর সেই প্ল্যানিং কে কেন্দ্র করে আপনি Test Case Develop করবেন। Test Case হলো আপনি একটা ফিচার বা ফাংশন কে কিভাবে টেস্ট করবেন তা ধাপে ধাপে বর্ণনা করা। আর Test Case এর ভাষা টা এমন হবে যাতে যে কেউ পড়ার পর বুঝতে পারে। একটা Test Case এ সর্বনিম্ন যে বর্ণনা থাকে তা হলোঃ
    • Test Case ID,
    • Test Case Name,
    • Steps to execute the Test Case,
    • Expected Result
  • Test Environment setup: এখন যে Test Case Develop করলেন যা চালানোর পালা, তবে তার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে Test করার জন্য Environment টা ঠিকমত সেটআপ করা আছে কিনা। যেমন আপনার সফটওয়্যার যদি ওয়েব ভিত্তিক হয় তাহলে ইন্টারনেট আছে কিনা, যদি সার্ভার এর সাথে সম্পর্কিত হয় তাহলে সার্ভার অন আছে কিনা, যেই সফটওয়্যার টেস্ট করবেন তার একেবারেই হালনাগাদ আছে কিনা ইত্যাদি।
  • Test Case Execution: এই ধাপে আপনি একজন পরিপুর্ন টেস্টার হিসাবে আগেই ডেভেলপ করা Test Case গুলাকে চালিয়ে দেখবেন যে Expected Result এর সাথে আপনার কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট মিলছে কিনা, যদি রেজাল্ট মিলে যায় তাহলে সেটা পাশ করা (Passed) টেস্ট কেস, নাহলে ফেল (Failed) টেস্ট কেস ।
  • Test Cycle Closure: Test Case Execution এর পরে আপনি একটা রিপোর্ট সাবমিট করবেন যেখানে আপনার টেস্টিং এর বর্ণনা থাকবে, যার মাধ্যমে বুঝা যাবে যে আপনি একটা সফটওয়্যার এর কোন কোন ফিচার বা ফাংশন টেস্ট করেছেন এবং তার রেজাল্ট কি।

আজ এ পর্যন্তই। আগামীতে আবার আরেকটি নতুন জিনিস নিয়ে আমরা আলোচনা করবো…

SDLC অথবা Software Development Life Cycle এর সাথে পরিচিতি

আমরা তো সাধারণত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। তবে আমাদের ব্যবহারের উপযোগী হওয়ার আগে ও পরে (মূলত আগে) একটি সফটওয়্যার তৈরী হতে একে বিভিন্ন একের পর এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পার হয়ে আসতে হয়।

SDLC অথবা Software Development Life Cycle হচ্ছে এমনই একটি প্রক্রিয়া। মূলত একটা সফটওয়্যার তৈরী হবার আগেই সফটওয়্যারটি ক্যামন হবে, কি জন্য হবে, কাদের জন্য হবে (মানে ব্যবহারকারী কারা হবেন), কি কি ফিচার ও ফাংশন থাকবে তা থেকে শুরু করে কেমন ডিজাইন, ল্যাঙ্গুয়েজ, আর্কিটেকচার নির্ধারণ করা, প্রোগ্রামার দের সহায়তায় ডেভেলপ করা, টেস্টার দের টেস্টিং হয়ে কাস্টমার বা আমাদের হাতে আসার পরও পরবর্তী সমস্যার জন্য প্রস্তুত থাকা এই সবই এই প্রক্রিয়ার অংশ। তাই SDLC অথবা Software Development Life Cycle এর ব্যপারে জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরী, কারণ এতে করে আমরা একটু আমাদের কাজের উপযোগী ক্ষেত্র এর ব্যপারে জানতে পারবো।

তো আজকে আমরা জানবো যে SDLC অথবা Software Development Life Cycle প্রক্রিয়াতে কি কি ধাপ রয়েছে এবং একটি সফটওয়্যার তৈরীতে কোন কোন ধাপে কোন কাজগুলো সম্পন্ন হয়। ধাপগুলো হলোঃ

  • Requirement
  • Analysis
  • Design
  • Development
  • Testing 
  • Maintenance

Requirement:  এটি হচ্ছে একেবারে প্রথম ধাপ। এই ধাপে সফটওয়্যার তৈরীর মূল কারণ, এই সফটওয়্যার এ কি কি ফিচার ও ফাংশন থাকবে, কোন কোন ফিচার কোন কোন ব্যবহারকারী ব্যবহার করবে তা ফাইনালাইজড হয়। এটি একটি গুরুত্বপুর্ন ধাপ কারণ কিছু ফিচার আছে যা কিনা সব রকম সফটওয়্যার এই থাকে যেমন একই বা বিভিন্ন ডিভাইস এ লগইন করা, ফেসবুকে যেমন আপনি চাইলেই একসাথে ২/৩টা কম্পিউটার বা মোবাইলে লগইন করতে পারবেন, আবার একটা ব্যাংকিং সফটওয়্যার এ এমন Requirement থাকতে পারে যে একসাথে একজন ব্যবহারকারী শুধুমাত্র একটা কম্পিউটার এই লগইন থাকতে পারবেন। তাই Requirement এর ব্যপারটা ক্লিয়ার হওয়া খুবই গুরুত্বপুর্ণ। সাধারণ কাগজপত্রের মাধ্যমে এই Requirement ফাইনালাইজড করা যাতে করে এটা নিয়ে ভবিষ্যতে কোন প্রকার ঝামেলা না হয়।

Analysis: Requirement এর ধাপ পেরোনোর পর শুরু হয় Analysis যা কিনা SDLC অথবা Software Development Life Cycle এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ এই ধাপেই নির্ধারণ করা হয় যে সফটওয়্যার তৈরীর জন্য ডেভেলপমেন্ট, টেস্টিং টিম এর কেমন সময় লাগবে। যে Requirement ফাইনাল হয় তা পর্যবেক্ষন ও নিরীক্ষণ করা, ডেভেলপমেন্ট টিম এর জন্য ডায়াগ্রাম, ডিজাইন, ল্যাঙ্গুয়েজ, আর্কিটেকচার নির্ধারণ করা, আবার টেস্টিং টিম এর জন্য কোন টেস্টিং প্রক্রিয়া এবং এর সাথে সম্পর্কিত সকল সম্ভাব্য পজিটিভ ও নেগেটিভ ঘটনা সবকিছু আগে থেকে ধারণা ও তার জন্য কোন সমাধান থাকা উচিৎ তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখা হয়।

Design: এই ধাপে ডিজাইনগুলো তৈরী ও ফাইলানাইজড করা হয় যার উপর ভিত্তি করে প্রোগ্রামার বা ডেভেলপার তা তাদের কোডিং দক্ষতার মাধ্যমে সফটওয়্যারটা তৈরী করেন। এই ডিজাইন হয় বিভিন্ন রকম ডায়াগ্রাম, আবার বিভিন্ন রকম গ্রাফিকাল কন্টেন্টসহ ডিজাইন।

Development: এই ধাপে প্রোগ্রামাররা উপরের Requirement, Analysis ও Design কে অনুসরণ করে সফটওয়্যার ডেভেলপ বা তৈরী করেন। এই ধাপটা মোটামুটি প্রোগ্রামিং নির্ভর। ডেভেলপমেন্ট শেষে সফটওয়্যার সম্পুর্ণ বা আংশিক একটা অংশ টেস্টার দের কে দেওয়া হয় টেস্ট এর জন্য।

Testing: এই ধাপে টেস্টার রা সফটওয়্যারটা টেস্ট করেন। তারা মূলত Analysis ধাপে টেস্টারদের জন্য তৈরী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেখেন যে সফটওয়্যার এ কোনরকম ত্রুটি আছে কিনা। আর এইক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী তাদের কে ফলো করতে হয় Requirement এর অংশটুকু, কারণ ত্রুটি মুক্ত থাকার সাথে সাথে এটাও লক্ষ্য রাখতে হয় যে Requirement এ যা আছে তা সফটওয়্যার পরিপুর্ণ করতে পারছে কিনা। এভাবে কয়েকদফা টেস্টিং এর পরে একটা পর্যায়ে এসে আমাদের মতো কাস্টমারদের ব্যবহারের উপযোগী হয় এই সফটওয়্যার।

Maintenance: এই ধাপে মূলত কাজ হয় সফটওয়্যার মার্কেট এ আসার পর বা কাস্টমার এর কাছে যাবার পর। যদি এর পরে আর কোন নতুন ফিচার বা ফাংশন যোগ করা, অথবা নতুন কোনও ত্রুটি আসলে সেটা সমাধান করা এই ধরনের কাজগুলো হয়ে থাকে।

 

আজকে এই পর্যন্তই। আগামীতে আমরা জানবো STLC অথবা Software Testing Life Cycle এর ব্যপারে, যা আমরা যারা Software QA & Testing এর ব্যপারে আগ্রহী তাদের জন্য।

সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর প্রয়োজনীয়তা

প্রথম ক্লাশে আমরা এখানে জেনেছি যে সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং আসলে কি। আজকে আমরা জানবো যে সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর আসলে কেনো প্রয়োজন।

আমরা তো প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রকম সফট্‌ওয়্যার ব্যবহার করি অথবা এর সাথে সম্পৃক্ত, যেমন মোবাইল গেমস্‌, তেমন ফেসবুক বা ইমেইল, অথবা বিভিন্ন ব্যাংক কিংবা হাসপাতাল এ সফট্‌ওয়্যার এর মাধ্যমে কার্যক্রম হয়। এখন ভেবে দেখুন তো, এই সফট্‌ওয়্যার এ যদি ত্রুটি থাকতো তাহলে ছোট থেকে বড় কি কি সমস্যা হতে পারতো তার একটা ধারণা বুঝে নেই…

  • মোবাইল এ গেমস খেলে সেভ করে রাখলেন, কিন্তু খেলতে গেলে আবার নতুন করে শুরু করতে হয়।
  • আপনার নিরাপদ ইমেইল এ যে কেউ খুব সহজেই লগইন করতে পারে।
  • আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কাউকে ১০০০০টাকা পাঠালেন, কিন্তু চলে গেলো ১০০০০০টাকা, কি বিপদ!!!
  • আপনি হসপিটাল এ একটা টেস্ট করাতে গেলেন, কিন্তু সফট্‌ওয়্যার এ ত্রুটি থাকার কারণে আপনার টেস্ট এর রেজাল্ট সম্পুর্ণই বিপরীত হলো, তখন কি হবে?

উপরোক্ত ঘটনাগুলা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে একটা সফট্‌ওয়্যার এর ত্রুটি কতবড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এবং এ ছাড়াও কিছু সমস্যা আছে যা আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। যেমন এই সফট্‌ওয়্যার যে কোম্পানি এর তৈরী তার মানদণ্ড কিন্তু এইসব কারণে হুমকিস্বরুপ হতে পারে, আবার এইরকম ত্রুটি ধরা পড়লে এগুলো ঠিক করতে প্রোগ্রামারের অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয় যা কিনা যথেষ্ঠ ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ।

এইসব রকম এবং আনুসাঙ্গিক কারণে সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর প্রয়োজন। যাতে করে একটা সফট্‌ওয়্যার সাধারণ ব্যবহারকারীর ব্যবহারের উপযোগী হবার আগে যতটুকু সম্ভব এর ভিতরের সমস্যা খুঁজে বের করা হয়, তারপর তার সমাধান করে ফেলা হয়। এতে করে ব্যবহারকারীকে যেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয়না, তেমন কোনও পরবর্তী সমস্যাও এড়ানো যায়। তো আমরা এই থেকে বলতে পারি যে, সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর মাধ্যমেঃ

  • একটা সফট্‌ওয়্যার এ কি কি রকম সমস্যার লক্ষণ রয়েছে তা প্রকাশ করে
  • সফট্‌ওয়্যার এর ব্যয়সাপেক্ষ ও অর্থসাপেক্ষ জনিত সমস্যা দুর করে
  • সফট্‌ওয়্যার যেন ব্যবহারকারীর উপযুক্ত হয় তা নিশ্চিত করে

অথবা, ইংরেজীতে বললে,

  • Software QA & Testing shows the presents of defects
  • It reduces the expense and time complexity
  • It keeps the standard of a software good enough for the end-user
  • It keeps the business reputation high

আগামীতে আমরা জানবো সফট্‌ওয়্যার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল (SDLC: Software Development Life Cycle) এর ব্যাপারে…

সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর সাথে পরিচয়

আমরা বর্তমানে এমন এক অবস্থানে আছি যা সম্পুর্ণই প্রযুক্তিনির্ভর। হোক তা মোবাইল, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, কিংবা গাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এমনকি বাড়িতেও রয়েছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। যেখানে এই ডিভাইস বা যন্ত্রগুলো চালানো হয় সফটওয়্যার এর মাধ্যমে, সফট্‌ওয়্যার এর মাধ্যমে আমরা আমাদের নির্দেশনা বা কমান্ড (Command) দেই এবং সফট্‌ওয়্যার তা সম্পন্ন করে দেয়।

সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং হচ্ছে ‘সফট্‌ওয়্যার ইঞ্জিয়ারিং(Software Engineering)  বা বাংলায় বললে সফট্‌ওয়্যার প্রকৌশল এর এমন একটি ধাপ যেখানে একটি সফট্‌ওয়্যার কে বিভিন্নভাবে নিরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষন এর মাধ্যমে দেখা হয় যে এতে কোন ত্রুটি রয়েছে কিনা, যাতে করা আমরা সফট্‌ওয়্যার কে যখন কোনও নির্দেশনা বা কমান্ড দিবো তখন যেন সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়। এই পর্যবেক্ষন হতে পারে সফট্‌ওয়্যার তৈরীর শেষের দিকে অথবা তৈরীর শুরুতেই।

সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে এটার মধ্যে যদি ত্রুটি থাকে তাহলে খুঁজে বের করা এবং একই সাথে সফট্‌ওয়্যার এর কোয়ালিটি (Quality) বা মানদণ্ড ঠিক আছে কিনা সেটারও খেয়াল রাখা।

তাহলে, পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং (Software Quality Assurance and Testing) হচ্ছে এমন একটি কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া যেখানে সফট্‌ওয়্যার এর পরিপূর্ণতা(Completeness), সঠিকতা(Correctness), এবং মানদণ্ড(Quality) পর্যবেক্ষন করা হয়। or,

Software Quality Assurance and Testing is a process & a set of activities to identify and verify the correctness, completeness, and quality of a Software.

 

** পরবর্তীতে আমরা জানবো সফট্‌ওয়্যার কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও টেস্টিং এর প্রয়োজনীয়তা…